A, B, C = বিভিন্ন রোটেশনাল অ্যাক্সিসের নাম। A, B এবং C দিয়ে যথাক্রমে X, Y এবং Z অ্যাক্সিসের সাপেক্ষে রোটেশনাল অ্যাক্সিসগুলিকে বোঝায়।
D = কাটিং
টুলের অফসেট। D এর সাহায্যে কাটিং টুলের
অফসেট বোঝানো হয়।
F = অ্যাক্সিসের
ফীড বোঝানোর জন্য। অ্যাক্সিসটির
মুভমেন্ট কত দ্রুত হবে তা F এর পরে একটি নিউম্যারিক ভ্যালু দিয়ে
নির্ধারন করা হয়। যেমন F100 এর অর্থ ঐ অ্যাক্সিসটির
মুভমেন্ট ফীড বা স্পীড 100 mm/minute হবে। এবং এই
নিউম্যারিক
ভ্যালু যত বেশী হবে,
অ্যাক্সিসটির মুভমেন্টও তত দ্রুত হবে।
G = প্রিপারেটরি
ফাংশান কোড। এর
সাহায্যে মেশিন পরবর্তিতে কি ভাবে কাজ করবে
অর্থাৎ কো-অর্ডিনেট সিস্টেম কি হবে বা মেজারিং
সিস্টেম কি হবে ইত্যাদি বোঝানো হয়। G এর পরে একটি
নিউম্যারিক ভ্যালু দিয়ে উক্ত কাজের
নির্দেশ দেওয়া হয়। যেমন G90 এর অর্থ অ্যাবসোলিউট ডাটা ইনপুট
ইত্যাদি। পরবর্তীতে CNC মেশিনের প্রোগ্রামিং এ বহূল ব্যাবহৃত বিভিন্ন G কোডগুলির
বিস্তারিত তালিকা দেওয়া হয়েছে।
H = অক্সিলারি
ফাংশান কোড। H ব্যাবহার
করে সাধারনত অক্সিলারি ফাংশান কোড বোঝানো হয় এবং M কোডের পরিবর্তে কখনো
ব্যাবহার করা হয়। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে H
দিয়ে কাটিং টুলের লেন্থ অফসেটও বোঝানো
হয়ে থাকে।
I, J, K = আর্ক
সেন্টার বোঝায়। সার্কুলার
ইন্টারপোলেশান (Circular Interpolation) প্রোগ্রামিং এর সময় I, J, এবং K দ্বারা যথাক্রমে X, Y এবং Z অ্যাক্সিসের আর্ক
সেন্টার বোঝানোর জন্য ব্যাবহার করা হয়।
M = মিসসেলেনিয়াস
কোড। এই কোডের সাহায্যে সাধারনত মেশিনের
বিভিন্ন ফাংশানগুলি যেমন টুল চেঞ্জ, কুল্যান্ট অন, প্যালেট চেঞ্জ ইত্যাদি কাজের
নির্দেশ দেওয়া হয়। এখানেও Mএর পরে একটি নিউম্যারিক
ভ্যালু দিয়ে উক্ত
কাজ নির্ধারিত করা হয়। উদাহরনস্বরূপ M07 অর্থ
কুল্যান্ট অন ইত্যাদি।
N = প্রোগ্রাম
ব্লক নাম্বার। N
এবং তার সাথে নিউম্যারিক ভ্যালু বসিয়ে একেকটি প্রোগ্রাম
ব্লককে চিহ্নিত করা হয়। যেমন N5, N10
... ইত্যাদি।
O
= প্রোগ্রাম নাম্বার। O এবং
তার সাথে নিউম্যারিক ভ্যালু বসিয়ে
একেকটি প্রোগ্রামকে চিহ্নিত করা হয় (FANUC কন্ট্রোলারের ক্ষেত্রে),
যেমন O1234, O555... ইত্যাদি।
R = R
প্যারামিটার। এর সাহায্যে প্রোগ্রামের মধ্যে কোন
নিউম্যারিক্যাল কন্সট্যান্ট মানের পরিবর্তে ভেরিয়েবল মান ব্যাবহার করা যায়। R প্যারামিটারের সাহায্যে
জটিল প্রোগ্রামকে সহজভাবে লেখা বা প্রোগ্রামে বিভিন্ন ম্যাথামেটিক্যাল ফাংশান
থাকলে তা সহজেই করা যায়। এছাড়াও কোন কোন ক্ষেত্রে R দিয়ে সার্কুলার
ইন্টারপোলেশানে মুভমেন্টের আর্ক রেডিয়াসও বোঝানো হয়ে থাকে।
S = স্পীন্ডলকে
বোঝায়। এবং স্পীন্ডলটি কত জোরে ঘুরবে তা বোঝানোর
জন্য S এর পরে একটি
নিউম্যারিক ভ্যালু দিয়ে তার rpm বোঝানো হয়। যেমন S2000 এর অর্থ স্পীন্ডলটি 2000
rpm এ
ঘুরবে। এই নিউম্যারিক ভ্যালু যত বেশী হবে, স্পীন্ডলের রোটেশানও তত দ্রুত
হবে।
T = কাটিং
টুলকে বোঝায়। T এর পরে একটি নিউম্যারিক ভ্যালু
বসিয়ে নির্দিষ্ট টুলকে চিহ্নিত বা আইডেন্টিফাই করা হয়। যেমন
প্রোগ্রামের মধ্যে কোন ব্লকে T5
লেখার অর্থ পাঁচ নম্বর টুলটিকে ঐ ব্লক এবং পরবর্তি ব্লকের মেশিনিং এর জন্য ডাকা হয়েছে।
U, V, W, = অতিরিক্ত
অ্যাক্সিস। মেশিনের X, Y এবং Z অ্যাক্সিসের সাথে একই লাইনে অতিরিক্ত
অ্যাক্সিস থাকলে তা যথাক্রমে U, V এবং W দিয়ে বোঝানো হয়।
X, Y, Z, =
বিভিন্ন অ্যাক্সিসের নাম। এদের সাহায্যে মেশিনের বিভিন্ন
অ্যাক্সিসকে
চিহ্নিত করা হয়। প্রোগ্রামে X, Y, Z ইত্যাদির পরে
ডেসিম্যাল পয়েন্ট সহ নিউম্যারিক ভ্যালু বসিয়ে ঐ অ্যাক্সিসকে
কতদূর মুভ করাতে হবে, তা বোঝানো হয়। যেমন X120.501 এর
অর্থ মেট্রিক সিস্টেমের ক্ষেত্রে
‘X’
অ্যাক্সিসকে পূর্বের অবস্থান থেকে 120.501 mm অবস্থান অবধি মুভ করাতে হবে।
LF অথবা ; = প্রোগ্রাম
ব্লকের শেষ। প্রতিটি প্রোগ্রাম
ব্লকের শেষ বোঝানোর জন্য LF বা ; চিহ্ন ব্যাবহৃত হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন